কিসমিস আমাদের শরীরে ক্যাটেচিন এর মত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি কাজ করে। কিসমিসে আছে ভিটামিনস, অ্যামাইনো অ্যাসিড,সেলেনিয়াম এবং ফসফরাসের মত মিনারেল, যেগুলি প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানকে শোষিত হতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিসমিস অন্যান্য খাবার থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীরে শুষে নিতে সাহায্য করে, ফলে দেহে এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমায়, নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, কোষ্টকাঠিন্যতা কমায়। কিসমিসে আছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন এবং ক্যারোটিনয়েড, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের এর সুরক্ষায় কাজ করে। এই খাবারটি আমাদের যৌন ও স্বার্বিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে। আপনি ১মুঠ পরিমান কিসমিস শুধু খেতে পারেন আবার পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারেন, আপনার পছন্দ মত। আর যে ভাবেই খান না কেন আপনি এর সকল উপকারিতাই পাবেন।
Top Menu
Main Menu
রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ডাবের পানির উপকারিতা :
ডাবের পানির উপকারিতা :* ডাবের পানি হলো প্রাকৃতিক স্যালাইন। যাঁরা সমুদ্র উপকূলে বা রোদে কাজ করেন, তাঁরা দিনে দু-তিনটি ডাব খেতে পারেন। ডাবের পানিতে উপকারী উৎসেচক (এনজাইম) থাকায় তা হজমে অত্যন্ত সাহায্য করে। অনেকের জন্যই ভারি কিছু খাওয়ার পর ডাবের পানি বেশ উপকারী। * ডাব আমাদের শরীরে পানি ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই ক্ষতিকর খাবারের বদলে ডায়েটে রাখুন ডাবের পানি।* এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম রয়েছে। তাই শরীরে এসব খনিজের অভাব রুখে দিতে পারে ডাবের পানি।* ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে মূত্রবর্ধক উপাদান। এটি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট পরিষ্কারে সাহায্য করে। শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে ডাবের পানি। এ ছাড়া এটি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়।* শরীরচর্চা বা পরিশ্রমের কাজ করার পর এক গ্লাস ডাবের পানি শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।* প্রতিদিন এক কাপ ডাবের পানি পান করলে ত্বক আর্দ্র থাকে। ফলে ব্রণের সমস্যা কমে।* এটি হজমে বেশ সাহায্য করে। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা কমে। ডাবের পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ইউরিনারি ট্র্যাক্টে সংক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে।তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝতে হবে। ডায়বেটিস ও কিডনি রোগীদের ডাবের পানি খেতে রেস্ট্রিকশনস আছে।
চিংড়ি মাছের আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা
চিংড়ি মাছের আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেমন - ১) চিংড়িতে থাকে ফ্যাট, প্রোটিন এবং মিনারেলসের একটি সুষম অনুপাত যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভাল। ২) চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম যা শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। অর্থাৎ ক্যানসার প্রতিরোধে চিংড়ি অত্যন্ত কার্যকরী। ৩) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই খাবার হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের পক্ষেও ভাল।৪) চিংড়ি হল প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়ামের উৎস। ৫) ভিটামিন-ই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় চিংড়িতে। তাই পরিমিত পরিমাণ চিংড়ি নিয়মিত খেলে ত্বক ভাল থাকে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। ৬) চিংড়িতে রয়েছে ভিটামিন বি-১২। এই বিশেষ ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ড ভাল থাকে। এটা দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। ৭) চিংড়ি হল প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের উৎস আর প্রোটিন শরীরের একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন না থাকলে যে কোন আঘাত বা ক্ষত সেরে উঠতে দেরি হয়। ৮) অন্যান্য অনেক মাছ এবং মাংসের তুলনায় চিংড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটা কম। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাঁরা চিংড়ি বেশি করে খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। ৯) এতে আছে জিংক যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ ও ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। অনেকের মুত্রনালতে ইনফেকশন থাকে এবং প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালা ভাব হয়। তাই চিংড়ি মাছের ভর্তা খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ১০) থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ১১) হাড়ের ক্ষয় রোধ হয় এবং হাড় মজবুত থাকে। কারন চিংড়ি মাছে রয়েছে ফসফরাস নামক এক বিশেষ স্বাস্থ্যকর উপাদান। আর কোন প্রশ্ন থাকলে মায়াকে করুন। ধন্যবাদ।
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল : ১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ২. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়: আমেরিকার অ্যান্ড্রস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা কগনিটিভ পাওয়া, সহজ কথায় বললে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৩. ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকে: বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও নানা উপকারে লেগে থাকে। যেমন, অ্যাক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে কোষেদের ক্ষত রোধ করে, সেই সঙ্গে ত্বকের এবং শরীরের বয়স কমাতেও সাহায্য করে থাকে। ৪. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়: বাদামে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ প্রয়োজনে লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো একাধিক ক্রনিক রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানগুলি সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না। ৫. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে: অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পয়েছে। বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান শরীরে অন্দরে ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও। ৬. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ৮. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৯. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ১০. বাদাম খেলে যৌন শক্তি বাড়ে। বাদামে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চীনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে। কাচা ছোলা খেলে তা শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি জোগান দিবে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করবে, ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে, ত্বক ও চুল সুস্থ্য থাকবে, রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক থাকবে, হার্ট সুস্থ্য থাকবে, হজম শক্তি বাড়বে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকবে, ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করবে, মন ভাল থাকবে, খাবারের অরুচি দূর হবে, দৃষ্টিশক্তি বাড়বে, রক্তশূন্যতা দূর হবে।কিসমিস আমাদের শরীরে ক্যাটেচিন এর মত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি কাজ করে। কিসমিসে আছে ভিটামিনস, অ্যামাইনো অ্যাসিড,সেলেনিয়াম এবং ফসফরাসের মত মিনারেল, যেগুলি প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানকে শোষিত হতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিসমিস অন্যান্য খাবার থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীরে শুষে নিতে সাহায্য করে, ফলে দেহে এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমায়, নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, কোষ্টকাঠিন্যতা কমায়। কিসমিসে আছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন এবং ক্যারোটিনয়েড, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের এর সুরক্ষায় কাজ করে। এই খাবারটি আমাদের যৌন ও স্বার্বিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে।
লাল টমেটোসহ রঙ্গিন সবজি
লাল টমেটোসহ রঙ্গিন সবজি, ফলমূল আমাদের স্বার্বিক স্বাস্থ্যসহ যৌন স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত এগুলো খেতে পারেন
১০০ গ্রাম বড়ই এ রয়েছে
প্রতি ১০০ গ্রাম বড়ই এ রয়েছে খাদ্যশক্তি ৭৯ কিলোক্যালরি, শর্করা ২০ দশমিক ২৩ গ্রাম, আমিষ ১ দশমিক ২ গ্রাম, জলীয় অংশ ৭৭ দশমিক ৮৬ গ্রাম, ভিটামিন এ ৪০ আইইএ, থায়ামিন শূন্য দশমিক শূন্য ২ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লোবিন শূন্য দশমিক শূন্য ৪ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন শূন্য দশমিক ৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ৬ শূন্য দশমিক শূন্য ৮১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, লোহা শূন্য দশমিক ৪৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, ম্যাংগানিজ শূন্য দশমিক শূন্য ৮৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৫০ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৩ মিলিগ্রাম, জিংক শূন্য দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম। এর খাদ্যগুন গুলো হল -১. এর উপাদানগুলো শরীরে শক্তি জোগায়। অবসাদ কেটে যায় দ্রুত। তাই যাঁরা অবসাদে ভুগছেন, তাঁরা বড়ই খেতে পারেন। ২. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ফলে এটি সংক্রামক রোগ দূর করতে সহায়তা করে। যেমন: টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বায় ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর করে। ৩. এর রসকে ক্যানসাররোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ফলের রয়েছে ক্যানসার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ ক্ষমতা। ৪. যকৃতের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফল। যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ৫. ইহা অত্যন্ত চমৎকার একটি রক্ত বিশুদ্ধকারক। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টক বড়ই উপকারী ফল। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে কাজ দেয় এই ফল। ৬. মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশিও প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া হজমশক্তি বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি বাড়িয়ে তোলে এ ফল। ৭. বড়ই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি যকৃতে সুরক্ষা বর্ম তৈরি করে এবং ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে। ৮. বড়ই বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকায়। বরই বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয় শরীরে। ৯. ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে কোমল করে বড়ই। রোদে পোড়া ত্বক সুরক্ষার কাজেও কার্যকর। ১০. বড়ই কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য হজমজনিত সমস্যার সমাধান করে। ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
পালংশাক, লেটুসপাতা, ব্রকলি, কমলা, করল্লা, ক্যাপসিকাম, মেথি শাক, পুদিনা, ধনিয়া, টমেটো, পুঁইশাক, কুমড়া শাক, মিষ্টি আলু, পটল, ঝিংগা, চালকুমড়া, ,ডাটা, পাটশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক, পেঁপে, সজিনা, মটরশুঁটি, শিম, বরবটি, বাঁধাকপি, গাজর, ফুলকপি, লাউ শাক, বথুয়া শাক, সিম, শালগম, লাল শাক, ঢেকি ছাটা চাল, লাল আটা, ইসুবগুল, তোকমা
আশ পাওয়া যাবে খোসা সহ ফলমুল, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি - পালংশাক, লেটুসপাতা, ব্রকলি, কমলা, করল্লা, ক্যাপসিকাম, মেথি শাক, পুদিনা, ধনিয়া, টমেটো, পুঁইশাক, কুমড়া শাক, মিষ্টি আলু, পটল, ঝিংগা, চালকুমড়া, ,ডাটা, পাটশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক, পেঁপে, সজিনা, মটরশুঁটি, শিম, বরবটি, বাঁধাকপি, গাজর, ফুলকপি, লাউ শাক, বথুয়া শাক, সিম, শালগম, লাল শাক, ঢেকি ছাটা চাল, লাল আটা, ইসুবগুল, তোকমা ইত্যাদি খাবারে।
পোল্টির ডিম এবং দেশি মুরগির ডিমের
পোল্টির ডিম এবং দেশি মুরগির ডিমের মধ্যকার পুষ্টিগত কোন পার্থক্য নেই।
তিসি, মিষ্টিকুমড়ার বীজ, তুলসি পাতা, এপ্রিকট, জলপাই, কচুর মুল, পালং শাক, ডিমের কুসুম, সয়াবিন, পাকা টমেটো, বেদানা, বাদাম,
উদ্ভিজ্জ তেল (অলিভ অয়েল, সূর্যমুখীর তেল, পাম অয়েল ইত্যাদি), সবুজ শাকসবজি, তিসি, মিষ্টিকুমড়ার বীজ, তুলসি পাতা, এপ্রিকট, জলপাই, কচুর মুল, পালং শাক, ডিমের কুসুম, সয়াবিন, পাকা টমেটো, বেদানা, বাদাম, অঙ্কুরিত শস্যবীজ ও ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন-ই রয়েছে।
মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা, ডাল, বাদাম, তেলবীজ
বৃদ্ধিকারক খাদ্যগুলো হল - মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা, ডাল, বাদাম, তেলবীজ ইত্যাদি
গোল আলু, মিষ্টি আলু, মেটে আলু, কচু, শালগম, মূলা,
যে খাদ্যে, খাদ্য উপাদানের ছয়টি উপাদান সমান পরিমানে থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে। সুষম খাবারে শক্তিদায়ক, বৃদ্ধিকারক এবং রোগ প্রতিরোধক এই তিন ধরনের খাবারের সংমিশ্রন থাকে। শক্তিদায়ক খাদ্যগুলো হল - শস্য বা দানা জাতীয় খাবার (যেমন চাল, গম, ভূট্টা ইত্যাদি), মূল, শিকড় ও কন্দ জাতীয় খাবার(যেমন গোল আলু, মিষ্টি আলু, মেটে আলু, কচু, শালগম, মূলা, ইত্যাদি), চিনি, তেল, ঘি, চর্বি, মাখন, ডালডা, নারিকেল ইত্যাদি
শাকসবজি গ্রহণের ফলে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনী
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক চাহিদানুযায়ী শাকসবজি গ্রহণের ফলে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনী রোগ, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশও থাকে, যা মলাশয়ের ক্যান্সার, মূত্রনালীর পাথর, ডায়াবেটিস, স্থুলকায়ত্ব, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগপ্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেহকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। এছাড়াও শাকসবজিতে বিদ্যমান আঁশগ্রহণকৃত খাদ্য দ্রবের মধ্যস্থিত অতিরিক্ত কোলেস্টেরল/চর্বিসহ অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিকের সাথে যৌগ তৈরি করে শরীর থেকে নিষ্কাশন করার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। শাকসবজিতে বিদ্যমান ভিটামিন ই, সি এবং বিটাক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন-প্রস্টেট, ওভারিয়ান, স্তন এবং বিশেষ করে ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শিশুদের অপুষ্টিজনিত রাতকানা, অন্ধত্ব, রিকেট, বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ, স্কার্ভি, মুখ ও ঠোঁটের কোণে ঘা, রক্তশূন্যতা দূরীকরণেও শাকসবজি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
পাট, কলমী
বাংলাদেশের জাতীয়খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা-২০১৫ অনুযায়ী দৈনিক অন্তত ১০০ গ্রাম বা ১ আটিশাক এবং ২০০ গ্রাম বা ২ কাপ সবজি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু Income & Expenditure Survey (HIES)-2016 এর তথ্যানুযায়ী একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক গড়ে ১৬৭.৩০ গ্রাম সবজি গ্রহণ করে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুব অল্প। যদিও বিগত দশ বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দৈনিক সবজি গ্রহণের প্রবণতা খুব বেশি বৃদ্ধি পায় নাই। HIES-2005 এবং HIES-2010 এর তথ্যানুযায়ী দৈনিক সবজি গ্রহণের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৫৭.০০ এবং ১৬৬.০৮ গ্রাম। পৃথিবীর আর কোনো দেশের মানুষ সম্ভবত এত কম পরিমাণ শাকসবজি খায় না। সাধারণত আমাদের খাদ্য তালিকায় ভাত জনপ্রিয়তার শীর্ষে, সেই তুলনায় শাকসবজির গ্রহণের চাহিদা একেবারেই কম।
লাউ, শশা, ঝিঙা
বিভিন্ন প্রকার ফল সবজিতে শ্বেতসার, ভিটামিন ও খনিজলবণ থাকে। রঙিনসবজি, যেমন- গাজর, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো প্রভৃতিতে উল্লেখযোগ্য পরিমান ক্যারোটিন থাকে। কাঁচামরিচ, টমেটো, বাঁধাকপি, ভিটামিন-সি এর ভালো উৎস। সব সবজিতে ভালো পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। শাকসবজিতে পানির পরিমাণ বেশি বলে প্রোটিন ও শক্তিমূল্য কমে যায়। এজন্য লাউ, শশা, ঝিঙা প্রভৃতি সবজির ক্যালরি ও প্রোটিনের মান খুবই কম।
আলু পটাশিয়ামের ভালো উৎস
মূল ও কন্দ জাতীয় খাদ্য উদ্ভিদের পুষ্টিভাণ্ডার; বিশেষ করে আলু, কচু, মিষ্টিআলু প্রভৃতিতে প্রচুর পরিমাণ শ্বেতসার জমা থাকে। পৃথিবীর বহু দেশে আলু প্রধান শক্তিদানকারী খাদ্যরূপে গ্রহণ করা হয়। নতুন আলুতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পুরনো আলুর শ্বেতসার বিশ্লেষিত হয়ে মালটোজ ও কিছ গ্লুকোজ উৎপন্ন করে। এ কারণে পুরানো আলু, নতুন আলুর অপেক্ষা স্বাদে মিষ্টি। আলুতে ২%-এর মতো প্রোটিন থাকে, কিন্তু এই প্রোটিন উচ্চ জৈব মানের। নতুন আলুতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৫-৩০ মিগ্রা. পর্যন্ত ভিটামিন‘সি’ থাকে। আলু পটাশিয়ামের ভালো উৎস। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যেমন- ক্যালসিয়াম, লৌহ, বি-ভিটামিন কম পরিমাণে থাকে। আলুর খোসার নিচেই প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে, তাই খোসা সমেত আলু সিদ্ধ করা হলে, এসকল পুষ্টি উপাদানের অপচয় কম হয়।
পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, মুলা, সরিষা
শাকসবজিতে পানি, শর্করা, সেলুলোজ, পেকটিন, খনিজ উপাদান, ভিটামিন কম-বেশি পরিমাণে থাকে। তবে শাকসবজির কোষে নিম্নলিখিত উপাদানগুলোও থাকে।
১. উদ্ভিদ কোষের প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে তৈরি। এর ফলে কোষ প্রাচীর কঠিন ও অস্থিতিস্থাপক হয়। প্রাচীরে হেমিসেলুলোজও থাকে।
২. প্রাচীরের নিচে পেকটিন জাতীয় শর্করা থাকে যা আঠার মতো কাজ করে এবং সবজির খোসাকে ভেতরের অংশে আটকে রাখে। সবজি পরিপক্ব হলে পেকটিন দ্রবীভূত হয় এবং খোসা ঢিলে হয়ে পড়ে।
৩. প্রাচীরের ভেতর Protoplasmic Membrane থাকে যা Protoplasm-কে ধরে রাখে। এতে Plastids ও থাকে, যাতে ওই শাকসবজির রঞ্জক পদার্থ অবস্থান করে। এগুলো হচ্ছে-
ক. কেøারোপ্লাস্টস- এতে সবুজ রঞ্জক পদার্থ কেøারোফিল থাকে। পাতায় এই পদার্থ বেশি থাকে।
খ. ক্রোমোপ্লাস্টস- এতে পানিতে অদ্রবণীয় হলুদ, কমলা বর্ণের ক্যারোটিন থাকে যেমন- মিষ্টিকুমড়া, গাজর ইত্যাদি।
৪. লিউকোপ্লাস্টস-বর্ণহীন, এতে এ্যানথোসায়ানিন ও ফ্লেভোনস জাতীয় বর্ণহীন উপাদান থাকে যেমন আলু, শালগম, মুলা ইত্যাদি। এ্যানথোসায়ানিন অবশ্য লাল, বেগুনি রঞ্জক পদার্থের উপাদান, যেমন-বীট, লালশাক, বাধাঁকপি ইত্যাদিতে থাকে।
৫. কোষের ভেতর বেশির ভাগ জায়গাজুড়ে Vacuoles থাকে যাতে সেলুলোজ, কিছু প্রোটিন ও চর্বির মিশ্রণ থাকে।
বেশির ভাগ শাকসবজিতে পানির পরিমাণ বেশি (>৮০ শতাংশ) এবং প্রোটিন ২-৩ শতাংশ। বিচি, শিম-এ প্রেটিন বেশি থাকে। কন্দ ও মূলজাতীয় সবজিতে শ্বেতসার প্রচুর থাকে। ডাঁটা, পাতায়, সবজির খোসায় সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ, পেকটিন, গাম থাকে যা সবজির কাঠিন্য ও আকার ঠিক রাখে। এছাড়াও কিছু এনজাইম ও inhibitors থাকে।
সবুজপাতায়, পালংশাকে, বিট, সবুজ বীজে oxalic acid থাকে। খনিজ উপাদানের মধ্যে K, Ca, Fe, Na ইত্যাদি থাকে লবণরূপে যেমন phosphates, chlorides, carbonates ইত্যাদি। Phenolic যৌগ hydroxyl acids, flavones সবজিতে থাকে। সালফারজাতীয় যৌগের জন্য সবজিতে বিশেষ ধরনের গন্ধ পাওয়া যায়। আলুতে 2-isopropyl-3-me thoxypyrazine, বাঁধাকপিতে dimethyl sulfide, পেঁয়াজে thriopropanal-s-oxide অথবা এদের মিশ্রিত যৌগ থাকে। পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, মুলা, সরিষা প্রভৃতিতে উদ্বায়ী সালফার যৌগ থাকে যার গন্ধ রান্নার সময় ছড়িয়ে পড়ে। গ্লাইকোসাইড জাতীয় উপাদানের জন্য করলা, লেবুর খোসা তেতো লাগে।
বীট, লালশাক, বাধাঁকপি
শাকসবজিতে পানি, শর্করা, সেলুলোজ, পেকটিন, খনিজ উপাদান, ভিটামিন কম-বেশি পরিমাণে থাকে। তবে শাকসবজির কোষে নিম্নলিখিত উপাদানগুলোও থাকে।
১. উদ্ভিদ কোষের প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে তৈরি। এর ফলে কোষ প্রাচীর কঠিন ও অস্থিতিস্থাপক হয়। প্রাচীরে হেমিসেলুলোজও থাকে।২. প্রাচীরের নিচে পেকটিন জাতীয় শর্করা থাকে যা আঠার মতো কাজ করে এবং সবজির খোসাকে ভেতরের অংশে আটকে রাখে। সবজি পরিপক্ব হলে পেকটিন দ্রবীভূত হয় এবং খোসা ঢিলে হয়ে পড়ে।
৩. প্রাচীরের ভেতর Protoplasmic Membrane থাকে যা Protoplasm-কে ধরে রাখে। এতে Plastids ও থাকে, যাতে ওই শাকসবজির রঞ্জক পদার্থ অবস্থান করে। এগুলো হচ্ছে-
ক. কেøারোপ্লাস্টস- এতে সবুজ রঞ্জক পদার্থ কেøারোফিল থাকে। পাতায় এই পদার্থ বেশি থাকে।
খ. ক্রোমোপ্লাস্টস- এতে পানিতে অদ্রবণীয় হলুদ, কমলা বর্ণের ক্যারোটিন থাকে যেমন- মিষ্টিকুমড়া, গাজর ইত্যাদি।
৪. লিউকোপ্লাস্টস-বর্ণহীন, এতে এ্যানথোসায়ানিন ও ফ্লেভোনস জাতীয় বর্ণহীন উপাদান থাকে যেমন আলু, শালগম, মুলা ইত্যাদি। এ্যানথোসায়ানিন অবশ্য লাল, বেগুনি রঞ্জক পদার্থের উপাদান, যেমন-বীট, লালশাক, বাধাঁকপি ইত্যাদিতে থাকে।
মিষ্টিকুমড়া, গাজর
শাকসবজিতে পানি, শর্করা, সেলুলোজ, পেকটিন, খনিজ উপাদান, ভিটামিন কম-বেশি পরিমাণে থাকে। তবে শাকসবজির কোষে নিম্নলিখিত উপাদানগুলোও থাকে।
১. উদ্ভিদ কোষের প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে তৈরি। এর ফলে কোষ প্রাচীর কঠিন ও অস্থিতিস্থাপক হয়। প্রাচীরে হেমিসেলুলোজও থাকে।২. প্রাচীরের নিচে পেকটিন জাতীয় শর্করা থাকে যা আঠার মতো কাজ করে এবং সবজির খোসাকে ভেতরের অংশে আটকে রাখে। সবজি পরিপক্ব হলে পেকটিন দ্রবীভূত হয় এবং খোসা ঢিলে হয়ে পড়ে।
৩. প্রাচীরের ভেতর Protoplasmic Membrane থাকে যা Protoplasm-কে ধরে রাখে। এতে Plastids ও থাকে, যাতে ওই শাকসবজির রঞ্জক পদার্থ অবস্থান করে। এগুলো হচ্ছে-
ক. কেøারোপ্লাস্টস- এতে সবুজ রঞ্জক পদার্থ কেøারোফিল থাকে। পাতায় এই পদার্থ বেশি থাকে।
খ. ক্রোমোপ্লাস্টস- এতে পানিতে অদ্রবণীয় হলুদ, কমলা বর্ণের ক্যারোটিন থাকে যেমন- মিষ্টিকুমড়া, গাজর ইত্যাদি
শিম, মটরশুঁটি, বরবটি
শরীরের দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাক সবজিতে দেহের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ লবণ ও আঁশ রয়েছে। এসব পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ শাকসবজি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও খাদ্যদ্রব্য হজম, পরিপাক ও বিপাকে সহায়তা, শর্করা-আমিষ ও তেলকে ক্যালরিতে (শক্তি) পরিণত করতে, খাবারে রুচি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন- মূলা, ডাঁটা, পাতা, ফুল, ফল, বিচি সবই শাকসবজি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। উদ্ভিদের ভক্ষণযোগ্য অংশ অনুসরণে শাকসবজিকে নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে-
১. পাতাজাতীয় : পালংশাক, লাউশাক, মুলাশাক, লালশাক, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, পেঁয়াজপাতা ইত্যাদি।
২. কন্দ বা শিকড় : গাজর, আলু, শালগম, মুলা, ওল, কচু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি।
৩. ফুলজাতীয় : ফুলকপি, শাপলা।
৪. ফলজাতীয় : লাউ, ঝিঙা, শসা, টমেটো ইত্যাদি।
৫. শুঁিট ও বীচিজাতীয় : শিম, মটরশুঁটি, বরবটি ইত্যাদি।
লাউ, ঝিঙা, শসা, টমেটো
শরীরের দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাক সবজিতে দেহের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ লবণ ও আঁশ রয়েছে। এসব পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ শাকসবজি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও খাদ্যদ্রব্য হজম, পরিপাক ও বিপাকে সহায়তা, শর্করা-আমিষ ও তেলকে ক্যালরিতে (শক্তি) পরিণত করতে, খাবারে রুচি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন- মূলা, ডাঁটা, পাতা, ফুল, ফল, বিচি সবই শাকসবজি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। উদ্ভিদের ভক্ষণযোগ্য অংশ অনুসরণে শাকসবজিকে নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে-
১. পাতাজাতীয় : পালংশাক, লাউশাক, মুলাশাক, লালশাক, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, পেঁয়াজপাতা ইত্যাদি।
২. কন্দ বা শিকড় : গাজর, আলু, শালগম, মুলা, ওল, কচু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি।
৩. ফুলজাতীয় : ফুলকপি, শাপলা।
৪. ফলজাতীয় : লাউ, ঝিঙা, শসা, টমেটো ইত্যাদি।
ফুলকপি, শাপলা
শরীরের দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাক সবজিতে দেহের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ লবণ ও আঁশ রয়েছে। এসব পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ শাকসবজি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও খাদ্যদ্রব্য হজম, পরিপাক ও বিপাকে সহায়তা, শর্করা-আমিষ ও তেলকে ক্যালরিতে (শক্তি) পরিণত করতে, খাবারে রুচি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন- মূলা, ডাঁটা, পাতা, ফুল, ফল, বিচি সবই শাকসবজি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। উদ্ভিদের ভক্ষণযোগ্য অংশ অনুসরণে শাকসবজিকে নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে-
৩. ফুলজাতীয় : ফুলকপি, শাপলা।
গাজর, আলু, শালগম, মুলা, ওল, কচু, পেঁয়াজ, রসুন
শরীরের দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাক সবজিতে দেহের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ লবণ ও আঁশ রয়েছে। এসব পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ শাকসবজি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও খাদ্যদ্রব্য হজম, পরিপাক ও বিপাকে সহায়তা, শর্করা-আমিষ ও তেলকে ক্যালরিতে (শক্তি) পরিণত করতে, খাবারে রুচি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন- মূলা, ডাঁটা, পাতা, ফুল, ফল, বিচি সবই শাকসবজি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। উদ্ভিদের ভক্ষণযোগ্য অংশ অনুসরণে শাকসবজিকে নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে-
২. কন্দ বা শিকড় : গাজর, আলু, শালগম, মুলা, ওল, কচু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি।
পালংশাক, লাউশাক, মুলাশাক, লালশাক, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, পেঁয়াজপাতা
শাকসবজির পুষ্টিমান
শরীরের দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাক সবজিতে দেহের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ লবণ ও আঁশ রয়েছে। এসব পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ শাকসবজি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও খাদ্যদ্রব্য হজম, পরিপাক ও বিপাকে সহায়তা, শর্করা-আমিষ ও তেলকে ক্যালরিতে (শক্তি) পরিণত করতে, খাবারে রুচি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন- মূলা, ডাঁটা, পাতা, ফুল, ফল, বিচি সবই শাকসবজি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। উদ্ভিদের ভক্ষণযোগ্য অংশ অনুসরণে শাকসবজিকে নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে-
১. পাতাজাতীয় : পালংশাক, লাউশাক, মুলাশাক, লালশাক, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, পেঁয়াজপাতা ইত্যাদি।
ভিটামিন সি এর উপকারিতা ও অভাবজনিত ফলাফল
প্রাণীজ খাদ্যগুলোতে ভিটামিন সি খুব কম পরিমানে পাওয়া যায়, শুধুমাত্র মায়ের দুধে কিছু পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায় । উদ্ভিজ্জ খাদ্যগুলোতে বিশেষ করে টকজাতীয় ফলগুলোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ।
আজ আমরা এখানে ভিটামিন সি এর উপকারিতা গুলো আর উৎস গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে জানবো, যাতে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় নূন্যতম পরিমানে ভিটামিন সি থাকে এবং আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব না হয় ।
ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম : Ascorbic Acid(অ্যাসকরবিক অ্যাসিড)
আমাদের শরীর ভিটামিন সি তৈরী করতে পারে না,তাই আমাদেরকে বাইরে থেকে খাদ্যের মাধ্যমে এটি গ্রহণ করতে হয় বা সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে নিতে হয় ।
চলুন তাহলে জেনে নিন যে, ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ…
ভিটামিন সি এর উপকারিতা :
১) শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট :
ভিটামিন সি আমাদের শরীরে একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে ।
ভিটামিন সি তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে তৈরী হওয়া ফ্রি রেডিক্যাল গুলোকে নিউট্রিলাইজ করে অর্থাৎ দূষিত ও বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে আমাদের শরীর থেকে বাইরে বের করে দিয়ে আমাদের শরীরকে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ তৈরী হতে বাধা দেয় ।
এইভাবে ভিটামিন সি আমাদের শরীর কে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে ।
২) রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা :
নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় ।
সেইকারণে প্রধানত শীতকালে সর্দি-কাশি বা অন্য কোনো ধরণের সংক্রমণ হলে ডাক্তার ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বা ভিটামিন সি ট্যাবলেট নেওয়ার পরামর্শ দেন |
৩) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ :
গবেষণাগারে এটি প্রমাণিত যে, ভিটামিন সি আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, ভিটামিন সি বৃক্কের মধ্যে থাকা রক্তনালী গুলো অর্থাৎ শিরা ও ধমনী গুলো থেকে জল ও সোডিয়াম অপসারণের মাধ্যমে রক্তনালীর চাপ কমায়, যার ফলে শরীরে রক্তচাপ কমে যায়।
এইভাবে ভিটামিন সি আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
৪) ক্ষতস্থান নিরাময় :
ভিটামিন সি এর উপকারিতা গুলোর মধ্যে এর আর একটি বিশেষ গুন হলো, ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তোলার ক্ষমতা । অর্থাৎ কোথাও কেটে গেলে, পর্যাপ্ত পরিমানে যদি ভিটামিন সি খাওয়া যায় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি কাটা জায়গা টি শুকিয়ে যায় ।
এছাড়াও যদি হার ভেঙে যায় বা ফ্র্যাকচার হয়ে যায় অথবা কোনো জায়গা খুব সাংঘাতিক ভাবে পুড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে – আমরা ডেইলি যে পরিমানে ভিটামিন সি খাই তার থেকে একটু বেশি পরিমানে ভিটামিন সি খেলেও ভালো ফল পাওয়া যায় ।
এককথায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি থাকলে কাটাছেড়া জায়গা গুলো সহজেই শুকিয়ে যায় ।
৫) বার্ধক্য রোধ করে :
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি খেলে আমাদের ত্বকের ( skin ) আর্দ্রতা বজায় থাকে, ত্বক মসৃন হয় , উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এছাড়াও ত্বকের আরও বিভিন্ন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় ।
সুতরাং, এটা বলা যেতেই পারে যে ভিটামিন সি আমাদেরকে বার্ধক্য জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় অর্থাৎ শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না ।
৬) লোহিত রক্তকণিকা :
ভিটামিন সি হলো একটি জলে দ্রবণীয় ভিটামিন, সেইজন্যে এই ভিটামিন আমাদের দেহ থেকে সহজেই আয়রন শোষণ করতে পারে । আর এই আয়রন লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
এক কথায় বলা যেতে পারে যে – ভিটামিন সি শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে এবং শরীরে আয়রনের অভাবও পূরণ করে ।
৭) দাঁতের মাড়ি সুস্থ্য রাখে :
বিশেষ করে শীতকালে মাঝে মধ্যেই দেখা যায় দাঁতের মারি দিয়ে রক্ত পড়তে, এটি আসলে ভিটামিন সি এর অভাবেই হয়ে থাকে । নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য খেলে এই ধরনের সমস্যা সাধারণত হয় না ।
এক কথায় বলা যেতে পারে যে – ভিটামিন সি মাড়িকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে |
৮) মানসিক চাপ কমায় :
অনেকসময় আবার মানসিক চাপ কমানোর জন্যেও ভিটামিন সি এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
উৎস :
ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে তো অনেক কিছুই জানলেন , এবার তাহলে জেনে নিন যে ট্যাবলেট ছাড়া কোন কোন খাবারে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায় …
বিশেষ করে সমস্ত টকজাতীয় ফালগুলোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ।
যেমন……..
আমলা ,
পেয়ারা ,
লেবু ,
আঙ্গুর,
কামলা লেবু ,
আনারস ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
এছাড়াও
টমেটো,
মিষ্টি আলু,
বাধাকপি,
কাঁচা লঙ্কা,
অঙ্কুরিত চলা,
পালংশাক ইত্যাদি শাকসব্জিতেও যথেষ্ট পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায় |
অভাবজনিত ফলাফল :
ভিটামিন সি এর উপকারিতা ও উৎস সম্পর্কে তো জানলেন, এবার তাহলে এটাও জেনে নিন যে, শরীরে এই ভিটামিনের অভাব ঘটলে কি কি সমস্যা গুলো হতে পারে। …
১) ভিটামিন সি এর এভাবে যে সব রোগ গুলো হয় তাদের মধ্যে সবথেকে গুরুতর রোগটি হলো – । স্কার্ভি রোগ হলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এবং মাঝে মধ্যেই মাড়ি দিয়ে রক্ত পরে ।
কোথাও কেটে গেলে সহজে সেই ক্ষত স্থান শুকায় না, এমনকি জয়েন্ট গুলোতেও ব্যাথা করতে শুরু করে ।
২) সামান্য আঘাতেই রক্ত বেরোতে শুরু করে, রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমান কমে যেতে থাকে, এর ফলে অনেক সময় রক্তাল্পতা বা এনিমিয়া রোগ দেখা দেয়।
৩)এছাড়াও শরীর দুর্বল অনুভব হয়, অনেক সময় ক্ষুধা কমে যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে খুব সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়।
আশা করছি , আর্টিকেল টি পড়ে ভিটামিন সি এর উপকারিতা, উৎস এবং শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে কি কি ধরনের সমস্যা হতে পারে সে সব সম্বন্ধে আপনাদের মধ্যে একটি স্পষ্ট ধারণা জন্মেছে ।
এক কথায়: ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।। শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ।। ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে ।। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে ।। মানসিক চাপ কমায় ।। ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ।।
ছোলা খাওয়ার ১০টি অসাধারণ উপকারিতা
ছোলা খাওয়ার ১০টি অসাধারণ উপকারিতা
মাছ, মাংস ডিম্ ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো যারা খেতে পছন্দ করেন না, তাদের জন্যে ছোলার কোনো বিকল্প হয় না । ছোলা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের একটি ভরপুর উৎস, তাই বাঙালি নিরামিষ খাচ্ছেন অথচ মেনুতে ছোলা নেই এটা হতেই পারে না । ছোলা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে — কাঁচা ছোলাই খেতে পারেন যা অত্যান্ত পুষ্টিকর খাদ্য, ডাল করে অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন, ছোলার বেসন বানিয়ে খেতে পারেন অথবা ছোলার ছাতু বানিয়েও খেতে পারেন ।
নিয়মিত ছোলা খাওয়ার উপকারিতা কি আপনি জানেন ? না জানা থাকলে জেনে নিন। ..ছোলা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন , ফাইবার, ফ্যাট, ভিটামিন সি, ভিটামিন k, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ একটি খাদ্য ।
ছোলা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল সমস্যার সমাধান করে, হজমশক্তি বাড়ায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে, এছাড়াও বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধেও ছোলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
নিয়মিত ছোলা খাওয়ার উপকারিতা:
পুষ্টি উপাদান:
ছোলা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি খাদ্য । এর তথ্য অনুসারে ছোলার পুষ্টি উপাদানগুলোর একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো :
| পুষ্টি উপাদান | ১ কাপ পরিমান ( ১৬৪গ্রাম ) ছোলা |
| শক্তি ( ক্যালোরি ) | ২৬৭ |
| প্রোটিন (গ্রাম ) | ১৪.৪ |
| ফ্যাট (গ্রাম) | ৪.২ |
| কার্বোহাইড্রেট (গ্রাম ) | ৪৪.৭, ৭.৮গ্রাম সুগার সহযোগে |
| ফাইবার ( গ্রাম ) | ১২.৫ |
| ক্যালসিয়াম (মিলিগ্রাম ) | ৮০.৪ |
| আয়রন ( মিলিগ্রাম) | ৪.৭ |
| ম্যাগনেসিয়াম (মিলিগ্রাম) | ৭৮.৭ |
| ফসফরাস (মিলিগ্রাম) | ২৭৪ |
| পটাসিয়াম (মিলিগ্রাম) | ৪৭৪ |
| জিঙ্ক (মিলিগ্রাম) | ২.৫ |
| সেলেনিয়াম (মাইক্রোগ্রাম) | ৬.১ |
| ভিটামিন সি ( মিলি গ্রাম ) | ২.১ |
| ভিটামিন ই ( মিলি গ্রাম ) | ০.৬ |
| ভিটামিন k (মাইক্রোগ্রাম ) | ৬.৬ |
| কোলিন (মিলিগ্রাম ) | ৬৯.৭ |
| বিটা ক্যারোটিন ( মাইক্রোগ্রাম ) | ২৬.২ |
হাড় মজবুত রাখে:
ছোলা আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ লবনে পরিপূর্ণ একটি খাদ্য । যা আমাদের হাড়ের গঠন সুন্দর করে ও হাড়কে মজবুত করে । যারফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়জনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায় ।
হজমশক্তি বাড়ায়:
ছোলা প্রচুর পরিমান খাদ্য তন্তু বা ফাইবার এ পরিপূর্ণ । এই তন্তু আবার জলে দ্রবণীয়, জলে দ্রবীভূত হয়ে জেলির মতো পদার্থে পরিণত হয়, যা আমাদের খাদ্য নালীকে পরিষ্কার রাখে । এছাড়াও খাদ্য নালীতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার পরিমান কমিয়ে দিয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমান বাড়িয়ে দেয় । ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায় ।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে:
ছোলাতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার বা তন্তুর পাশাপাশি, প্রোটিনও যথেষ্ট পরিমানে পাওয়া যায় । ছোলাতে উপস্থিত প্রোটিনও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । অন্যদিকে ফাইবার থাকার জন্যে ছোলা খাওয়ার পরে খুব তাড়াতাড়ি হজম না হয়ে ধীরে ধীরে হজম হয় ও রক্তে গ্লুকোজের পরিমান ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান হঠাৎ করে বাড়ে না । তাই ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস পায় ।
ওজন কমাতে সহায়তা করে:
ছোলাতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার আমাদের ক্ষুদা কমিয়ে দেয় এবং সবসময় পেট ভরা ভরা অনুভব হয়, যার জন্যে খাবার কম খেলেও অসুবিধা হয় না ।
হৃদপিণ্ড সুস্থ্য রাখে:
ছোলা ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ লবনে পরিপূর্ণ যা হৃপিন্ডকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে । বিশেষ করে ছোলাতে উপস্থিত পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যেটা হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ্য রাখতে বিশেষভাবে প্রয়োজন ।
তাছাড়া ছোলাতে থাকা ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান কমিয়ে হৃদপিন্ডকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে ।
ক্যান্সার প্রতিহত করে:
ছোলাতে থাকা সেলেনিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন নামে দুটো এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল গুলোকে নষ্ট করে শরীরকে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে ।
উন্নত মানের প্রোটিন:
এমন অনেকেই আছেন যারা আমিষ জাতীয় খাবার খেতে পারেন না । তাদের জন্যে একটি উন্নত মানের প্রোটিনের উৎস হলো এই ছোলা । এক কাপ পরিমান ছোলার মধ্যে প্রায় ১৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে । তাই মাছ, মাংস ইত্যাদি আমিষ জাতীয় খাদ্য খেতে না পারলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের উৎস হিসাবে ছোলা রাখতে পারেন । তাছাড়া ছোলা আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে ।
মানসিক শান্তি প্রদান করে:
ছোলাতে কোলিন নামে একধরণের খনিজ লবন রয়েছে যা আমাদের মস্তিস্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে ভালো রাখে । এক কথায় মন ভালো রাখে ও মানসিক শান্তি প্রদান করে ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
আপনার যদি রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে ছোলা আপনার জন্যে লাভদায়ক হতে পারে । কারণ ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম যা শরীরের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ।
এক কথায়: ছোলা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ।। হাড় মজবুত রাখে ।। হজমশক্তি বাড়ায় ।। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে ।। ওজন কমাতে সাহায্য করে ।। হৃদপিন্ড সুস্থ্য রাখে ।। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ।। উন্নত মানের প্রোটিনের উৎস ।। মানসিক শান্তি প্রদান করে ।। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ।।

