Top Menu

Main Menu

মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

জিহ্বার অগ্রভাগে মিষ্টি, পশ্চাদ্ভাগে তিক্ত

 জিহ্বার অগ্রভাগে মিষ্টি, পশ্চাদ্ভাগে তিক্ত

 অগ্রভাগের কিছু ওপরে ও মাঝখানে লবণাক্ত বা নোনতা এবং দুই পাশে অম্ল স্বাদ-গ্রাহক স্থান অবস্থিত। কোনো খাদ্যবস্তু যখন নির্দিষ্ট স্বাদকোরকের সংস্পর্শে আসে, তখন স্বাদকোরকগুলো উদ্দীপিত হয়। ওই উদ্দীপনা স্বাদকোরক থেকে গ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল স্নায়ু পথে মস্তিষ্কের স্বাদ কেন্দ্রে পৌঁছায়। ফলে আমরা স্বাদটি অনুভব করি। 

বৃহদান্ত্র আমাদের শরীরের তরল বর্জ্য উপাদানগুলোকে মূত্রে পরিণত করে

 বৃহদান্ত্র আমাদের শরীরের তরল বর্জ্য উপাদানগুলোকে মূত্রে পরিণত করে 

এবং খাদ্য থেকে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি ও পানি শোষণ করে নেয়। তবে কিছু কারণে হজমে প্রায়ই সমস্যা হয়। তখন অম্বল, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো অপ্রীতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

হজম ব্যবস্থার গঠন

  হজম ব্যবস্থার গঠন

মুখ, খাদ্যনালী, পেট, ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্র- মূলত এই পাঁচটি প্রধান অংশ নিয়ে  হজম ব্যবস্থার গঠন। গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বেতসার (ভাত, রুটি) খাদ্য, ফল ও সবজি হজম করতে যে পাচক রসের প্রয়োজন, তার চরিত্র ক্ষারধর্মী । 

ক্ষাররস আমাদের মুখের লালা থেকে এবং অম্লরস পাকস্থলী থেকে উৎপন্ন হয়। খাবার সময় আমাদের মুখের দুই পাশের মাড়ির পাশ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে এক ধরনের লালা ক্ষরণ হয়। সেটি ভাত ও শাক-সবজি হজম করতে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, ডাল হজম হয় পাকস্থলী থেকে নির্গত অম্লরসের মাধ্যমে।

ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয়

  ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয়

।এতে পেট ফোলা, গ্যাস ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

• খাবার ভালোভাবে ভাঙ্গতে হয়। এতে খাবার হজম সহজ হয় এবং খাবারের পুষ্টিগুলোকে দেহ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। 

• বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, খাবার ভালোভাবে খেলে ওজন কমে। কীভাবে? ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে মস্তিস্ক বোঝে পেট ভরেছে এবং এখন থামা প্রয়োজন। তবে দ্রুত খেলে এবং ভালোভাবে না চিবিয়ে খেলে মস্তিষ্কে এই সংকেত পৌঁছে না। তাই বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এটি ওজন বাড়ায়।  

• ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে খাওয়ার স্বাদ ও গন্ধ সুন্দরভাবে অনুভব করা যায়। 

অনেকেই খাবারকে ভালোভাবে চিবিয়ে খান না

 অনেকেই খাবারকে ভালোভাবে চিবিয়ে খান না

আমরা খাবার খেতে ভালোবাসি। তবে অনেকেই খাবারকে ভালোভাবে চিবিয়ে খান না। অনেকে জানেন না খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতার কথা। খাবার ভালোভাবে না চিবালে হজমে সমস্যা হয়। তাড়াহুড়ায় থাকলে অনেকেই খাবার ভালোমতো না চিবিয়েই খেয়ে ফেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই অভ্যাস বাদ দেওয়া প্রয়োজন। গবেষণায় বলা হয়, প্রতি কামড় অন্তত ৩০ থেকে ৫০ বার চিবাতে হয়।

চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক

 চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক

সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অকালে চুল সাদা হওয়া রোধ করে ও চুল পড়া কমায়। সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে এতে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-এতে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতি রাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করে লাগালে চুল কালো হয়।

চুল পাকা রোধ করতে

 চুল পাকা রোধ করতে

সরিষা তেলের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, মিনারেল চুলের অকালপক্বতা রোধ করে থাকে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই তেল মালিশ করুন চুল এবং মাথার তালুতে যা আপনার চুল পাকা রোধ করবে।

সরিষা তেল ঠান্ডা ও কাশি উপশমে সহায়ক

 সরিষা তেল ঠান্ডা ও কাশি উপশমে সহায়ক

প্রমাণিত হয়েছে। যখন বুকে প্রয়োগ বা তার দৃঢ় সুবাস নিশ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া হয়, এটা শ্বাসযন্ত্রের নালির থেকে কফ অপসারণেও সাহায্য করে। শুধু খাওয়ার জন্যই নয়, সরিষার তেল চুল ও ত্বকের যত্নেও কাজে লাগে।

সরিষাবীজ থেকে তৈরি হয় সরিষার তেল

 সরিষাবীজ থেকে তৈরি হয় সরিষার তেল

। এটি গাঢ় হলুদ বর্ণের এবং বাদামের মতো সামান্য কটু স্বাদ ও শক্তিশালী সুবাসযুক্ত তেল। ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়। বিভিন্ন ভোজ্য তেলের ওপর করা একটি তুলনামূলক সমীক্ষায় দেখা যায়, সরিষার তেল ৭০ শতাংশ হৃৎপিণ্ড–সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, যা হৃদ্​রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।

সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

ত্রিফলা ও এর উপকারিতাঃ

 

ত্রিফলা এর উপকারিতাঃ

বহেরা, হরিতকি আমলকি এই নিয়ে ত্রিফলা। এর উপকারিতা অনেক। নিচে কিছু ত্রিফলার উপকারিতা বর্ণনা করা হল,

  • হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
  • রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়
  • রক্তচাপ কমায় হার্টের জন্য উপকারী
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে
  • লিভারের পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায়
  • বাড়তি ওজন কমায়
  • অ্যালার্জি কমায়

সেবন পদ্ধতিঃ
চা চামচ পাউডারকাপ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে দৈনিকবার খাবেন। খালি পেটে খেলে ভাল

 

মেথির উপকারিতা

 

মেথির উপকারিতা

ঔষধী উপানে সমৃদ্ধ মেথি। এটি গ্যাস্টিকের জন্য অপ্রতিদন্দি। নিচে এর সামান্য কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হল,

  • রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • পেট ফাঁপা বদহজমে ভালো কাজ করে
  • পেস্ট করে চুলে ব্যবহার করলে চুল মজবুত হয়
  • ত্বকে ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • নিয়মিত মেথি খেলে পেটে কৃমি হয় না
  • রক্ত সল্পতায় মেথি খেলে উপকার পাওয়া যায়

সেবন বিধি:
চা চামচ পাউডারকাপ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে খাবেন। অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে সেব্য

 

অর্জুনের ছালের উপকারিতাঃ

 

অর্জুনের ছালের উপকারিতাঃ

হৃদরোগ উপশম করে, হৃদ পেশিকে শক্তিশালী করে এবং হৃদপিণ্ডের দূর্বলতা দূর করে
হাঁপানিতে বিশেষ কার্যকরি
দুধের সাথে খেলে বুক ধরফড় কমে
চর্ম যৌন রোগে অর্জুন বহুল ব্যবহৃত
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, মূত্র বর্ধক
অর্জুনে বিদ্যমান ট্রাইটারপিন রক্ত আমাশয় নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
মধুর সাথে মিশিয়ে ব্রণ মেছতায় দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়
এছাড়াও ক্ষত, ফোঁড়া, মুখ জিহবা মাড়ির প্রদাহে, জ্বর সারাতে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অর্জুন কার্যকরী

সেবন পদ্ধতিঃগ্রাম বাচা চামচ পাউডারকাপ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে খাবেন

 

জামবীজের উপকারিতাঃ

 

জামবীজের উপকারিতাঃ

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আদর্শ পথ্য এবং খুবি কার্যকরি
  • রক্তের শর্করা কমায়
  • ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতপ সাহায্য করে
  • পাকস্থলী, প্লিহা যকৃতের শক্তি বৃদ্ধি করে

সেবন পদ্ধতিঃচা চামচ পাউডারকাপ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে দৈনিক এক বা দুবার খাবেন