চিংড়ি মাছের আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেমন - ১) চিংড়িতে থাকে ফ্যাট, প্রোটিন এবং মিনারেলসের একটি সুষম অনুপাত যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভাল। ২) চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম যা শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। অর্থাৎ ক্যানসার প্রতিরোধে চিংড়ি অত্যন্ত কার্যকরী। ৩) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই খাবার হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের পক্ষেও ভাল।৪) চিংড়ি হল প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়ামের উৎস। ৫) ভিটামিন-ই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় চিংড়িতে। তাই পরিমিত পরিমাণ চিংড়ি নিয়মিত খেলে ত্বক ভাল থাকে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। ৬) চিংড়িতে রয়েছে ভিটামিন বি-১২। এই বিশেষ ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ড ভাল থাকে। এটা দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। ৭) চিংড়ি হল প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের উৎস আর প্রোটিন শরীরের একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন না থাকলে যে কোন আঘাত বা ক্ষত সেরে উঠতে দেরি হয়। ৮) অন্যান্য অনেক মাছ এবং মাংসের তুলনায় চিংড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটা কম। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাঁরা চিংড়ি বেশি করে খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। ৯) এতে আছে জিংক যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ ও ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। অনেকের মুত্রনালতে ইনফেকশন থাকে এবং প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালা ভাব হয়। তাই চিংড়ি মাছের ভর্তা খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ১০) থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ১১) হাড়ের ক্ষয় রোধ হয় এবং হাড় মজবুত থাকে। কারন চিংড়ি মাছে রয়েছে ফসফরাস নামক এক বিশেষ স্বাস্থ্যকর উপাদান। আর কোন প্রশ্ন থাকলে মায়াকে করুন। ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন