বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল : ১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ২. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়: আমেরিকার অ্যান্ড্রস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা কগনিটিভ পাওয়া, সহজ কথায় বললে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৩. ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকে: বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও নানা উপকারে লেগে থাকে। যেমন, অ্যাক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে কোষেদের ক্ষত রোধ করে, সেই সঙ্গে ত্বকের এবং শরীরের বয়স কমাতেও সাহায্য করে থাকে। ৪. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়: বাদামে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ প্রয়োজনে লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো একাধিক ক্রনিক রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানগুলি সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না। ৫. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে: অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পয়েছে। বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান শরীরে অন্দরে ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও। ৬. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ৮. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৯. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ১০. বাদাম খেলে যৌন শক্তি বাড়ে। বাদামে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চীনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে। কাচা ছোলা খেলে তা শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি জোগান দিবে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করবে, ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে, ত্বক ও চুল সুস্থ্য থাকবে, রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক থাকবে, হার্ট সুস্থ্য থাকবে, হজম শক্তি বাড়বে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকবে, ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করবে, মন ভাল থাকবে, খাবারের অরুচি দূর হবে, দৃষ্টিশক্তি বাড়বে, রক্তশূন্যতা দূর হবে।কিসমিস আমাদের শরীরে ক্যাটেচিন এর মত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি কাজ করে। কিসমিসে আছে ভিটামিনস, অ্যামাইনো অ্যাসিড,সেলেনিয়াম এবং ফসফরাসের মত মিনারেল, যেগুলি প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানকে শোষিত হতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিসমিস অন্যান্য খাবার থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীরে শুষে নিতে সাহায্য করে, ফলে দেহে এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমায়, নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, কোষ্টকাঠিন্যতা কমায়। কিসমিসে আছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন এবং ক্যারোটিনয়েড, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের এর সুরক্ষায় কাজ করে। এই খাবারটি আমাদের যৌন ও স্বার্বিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন