মাথার
এক-চতুর্থাংশ মাসাহ করা :
মাথা মাসাহ করার ব্যাপারে অবহেলা ও উদাসীনতা
লক্ষ্য করা যায়। কেউ চুল স্পর্শ করাকেই মাসাহ মনে করেন, কেউ মাথার চার ভাগের একভাগ মাসাহ করেন
এবং কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যায় নেমে পড়েন হেদায়ার লেখক চার ভাগের এক ভাগ মাসাহ
করার কথা উল্লেখ করেছেন। আর দলীল হিসাবে পেশ করেছেন ছহীহ মুসলিমের হাদীছ। অথচ উক্ত
হাদীছে পাগড়ী থাকা অবস্থায় মাসাহ করা সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুদূরী এবং হেদায়াতে মুগীরা (রাঃ)-এর নামে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা ভুল হয়েছে।129 যা হেদায়ার টীকাতেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তারা দুইটি হাদীছকে একত্রে মিশ্রিত করে উল্লেখ করেছেন।130 সুধী পাঠক! শরী'আতের ব্যাখ্যা হিসাবে রাসূল (ছাঃ) সুন্দরভাবে মাথা মাসাহ করার পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। কারণ পবিত্র কুরআন তার উপরই নাযিল হয়েছে। আর তিনি মাথার সামনের দিক থেকে শুরু করে পিছনে চুলের শেষ পর্যন্ত দুই হাত নিয়ে যেতেন এবং সেখান থেকে সামনে নিয়ে এসে শেষ করতেন। এভাবে তিনি পুরো মাথা মাসাহ করতেন। যেমন
উল্লেখ্য, কুদূরী এবং হেদায়াতে মুগীরা (রাঃ)-এর নামে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা ভুল হয়েছে।129 যা হেদায়ার টীকাতেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তারা দুইটি হাদীছকে একত্রে মিশ্রিত করে উল্লেখ করেছেন।130 সুধী পাঠক! শরী'আতের ব্যাখ্যা হিসাবে রাসূল (ছাঃ) সুন্দরভাবে মাথা মাসাহ করার পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। কারণ পবিত্র কুরআন তার উপরই নাযিল হয়েছে। আর তিনি মাথার সামনের দিক থেকে শুরু করে পিছনে চুলের শেষ পর্যন্ত দুই হাত নিয়ে যেতেন এবং সেখান থেকে সামনে নিয়ে এসে শেষ করতেন। এভাবে তিনি পুরো মাথা মাসাহ করতেন। যেমন
129. দ্রঃ ছহীহ
মুসলিম হা/৬৪৭, ১/১৩৩ পৃঃ ও
হা/৬৫৬, ১/১৩৪ পৃঃ। 130. আবুল
হাসান বিন আহমাদ বিন জাফর আল-বাগদাদী আল-কুদূরী, মুখতাছারুল
কুদূরী
(ঢাকা : ইসলামিয়া কুতুবখানা, বাংলাবাজার ১৯৮২/১৪০৩), পৃঃ ৩; শায়খুল ইসলাম
বুরহানুদ্দীন আবুল হাসান আলী ইবনু আবী বকর আল-মারগীনানী (৫১১-৫৯৩ হিঃ), আল-হেদায়াহ (নাদিয়াতুল কুরআন কুতুবখানা
(১৪০১), ১/১৭ পৃঃ; বঙ্গানুবাদ (ঢাকা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বাংলাদেশ, তৃতীয় সংস্করণ :
মার্চ ২০০৬), ১/৬ পৃঃ।
ثم مسح رأسه
بيديه فأقبل بهما وأدبر بدأ بمقدم رأسه حتى هب بهما إلى قفاه ثم ردهما إلى المكان
الذي بدأ منه.
ثم مسح رأسه بيديه فأقبل بهما وأدر بدأ بمقدم رأسه حتى
هب بهما إلى قفاه ثم دهما إلى المكان الذي بدأ منه.
‘অতঃপর তিনি তার দুই হাত দ্বারা মাথা
মাসাহ করেন। এতে দুই হাত তিনি সামনে করেন এবং পিছনে নেন। তিনি মাথার অগ্রভাগ থেকে
শুরু করে ঘাড় পর্যন্ত নিয়ে যেতেন অতঃপর যে স্থান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানে আবার
ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।131 ইমাম ইবনুল কাইয়িম (৬৯১-৭৪১ হিঃ) রাসূল (ছাঃ) কখনো মাথার কিছু অংশ মাসাহ
করেছেন মর্মে কোন একটি হাদীছ থেকেও প্রমাণিত হয়নি।132 উল্লেখ্য, পাগড়ী পরা অবস্থায় থাকলে মাথার অগ্রভাগ মাসাহ করা যাবে।133 আরো
উল্লেখ্য যে, পাগড়ীর নীচে
মাসাহ করতেন বলে আবুদাউদে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ।134
Source 131. ছহীহ বুখারী হা/১৮৫, ১/৩১ পৃঃ; বুখারী (ইফাবা
হা/১৮৫); মুত্তাফাক্ব আলাইহ,
মিশকাত
হা/৩৯৪, পৃঃ ৪৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৬২, ২/৭৮ পৃঃ; ছহীহ
তিরমিযী
হা/৩৪। 132. ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা'আদ ১/১৮৫ পৃঃ, মাসাহ করার বর্ণনা। 133ছহীহ মুসলিম
হা/৬৫৬, ৫৭, ৫৯, ১/১৩৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫২৪ ও
৫২৫);
মিশকাত
হা/৩৯৯, পৃঃ ৪৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৬৭, ২/৮১ পৃঃ; ইবনুল
কাইয়িম, যাদুল মা'আদ ১/১৮৫ পৃঃ, মাসাহ করার
বর্ণনা। 134 যঈফ আবুদাউদ হা/১৪৭, ১/১৯-২০ পৃঃ; যঈফ ইবনে মাজাহ
হা/৫৬৪। ১৩৫. পূর্ণাঙ্গ নামায শিক্ষা, পৃঃ ৪২ ও ৪৪। ১৩৬. ঐ, (ঢাকা : মুমতায লাইব্রেরী, ১১, বাংলাবাজার, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১০), পৃঃ ১১৪-১১৫।
See more www.ahlehadeethbd.org

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন