আযানের ফজিলত

আযানের ফজিলত
সংজ্ঞা : আযান অর্থঘোষণা ধ্বনি । পারিভাষিক অর্থশরীআত নির্ধারিত আরবী বাক্য সমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে ছালাতে আহবান করাকে আযান বলা হয়।

আল্লাহ তাআলা বলেন : যখন তোমরা সালাতের দিকে আহবান কর, তখন তারা (মুশরিকরা) এ নিয়ে ঠাটা বিদ্রুপ ও কৌতুক করে। তা এ জন্য যে, তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা উপলব্ধি করে না। [সূরা মায়িদা : ৫৮]

আল্লাহ তাআলা আরোও বলেন : ওহে যারা ঈমান এনেছ! যখন জুমু'আর দিনে নামাযের জন্য আহ্বান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহ্‌র স্মরণে তাড়াতাড়ি করবে ও বেচা-কেনা বন্ধ রাখবে। এইটিই হচ্ছে তোমাদের জন্য শ্রেয়যদি তোমরা জানতে - [সূরা জুমুআ : ৯]

আযানের ফযীলত সম্পর্কিত সহীহ হাদিস সমূহ:১. আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র.) _ _ _ আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যখন সালাতের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পলায়ণ করে, যাতে সে আযানের শব্দ না শোনে। যখন আযান শেষ হয়ে যায়, তখন যে আবার ফিরে আসে। আবার যখন সালাতের জন্য ইকামত বলা হয়, তখন আবার দূরে সরে যায়। ইকামত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে এসে লোকের মনে কুমন্ত্রণা দেয় এবং বলে এটা স্মরণ কর, ওটা স্মরণ কর, বিস্মৃত বিষয়গুলো সে স্মরণ করিয়ে দেয়। এভাবে লোকটি এমন পর্যায়ে পৌছে যে, সে কয় রাকাআত সালাত আদায় করেছে তা মনে করতে পারে না। [সহীহ বুখারী শরীফ -ইসলামিক ফাউন্ডেশন : ৫৮১, তাওহীদ পাবলিকেশন : ৬০৮]
২.  আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র.) _ _ _ _ আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান আনসারী মাযিনী (র._ থেকে বর্ণিত যে, আবূ সায়ীদ খুদরী (রা.) তাকে বললেন, আমি দেখছি তুমি বকরী চরানো এবং বন-জঙ্গলকে ভালবাস। তাই তুমি যখন বকরী নিয়ে থাক, বা বন-জঙ্গলে থাক এবং সালাতের জন্য আযান দাও, তখন উচ্চকন্ঠে আযান দাও। কেননা, জিন, ইনসান বা যে কোন বস্তুই যতদূর পর্যন্ত মুয়াযযিনের আওয়ায শুনবে, যে কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। আবূ সায়ীদ (রা.) বলেন, একথা আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে শুনেছি।  [বুখারী শরীফ  ইসলামিক ফাউন্ডেশন : ৫৮২, তাওহীদ পাবলিকেশন : ৬০৯]
৩. রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন যেক্বিয়ামতের দিন মুওয়ায্যিনের গর্দান সবচেয়ে উঁচু হবে। [মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৪।]
৪. মুওয়ায্যিনের আযান ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত সজীব ও নির্জীব সকল বস্ত্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ও সাক্ষ্য প্রদান করে। ঐ আযান শুনে যে ব্যক্তি ছালাতে যোগ দিবেসে ২৫ ছালাতের সমপরিমাণ নেকী পাবে। মুওয়ায্যিনও উক্ত মুছল্লীর সমপরিমাণ নেকী পাবে এবং তার দুই আযানের মধ্যবর্তী সকল (ছগীরা) গুনাহ মাফ করা হবে [নাসাঈআহমাদমিশকাত হা/৬৬৭।]
৫. যে ব্যক্তি বার বছর যাবৎ আযান দিলতার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। তার প্রতি আযানের জন্য ৬০ নেকী ও এক্বামতের জন্য ৩০ নেকী লেখা হয় [ইবনু মাজাহমিশকাত হা/৬৭৮।]

লেবেলসমূহ:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

লেবেল

MKRdezign

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget