১. আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার (অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়) --- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার --- ২ বার২. আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই)---২ বার৩. আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ (অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল)---২ বার
৪. হাইয়া ‘আলাছ ছালা-হ (অর্থ : ছালাতের জন্য এসো) --- ২ বার৫. হাইয়া ‘আলাল ফালা-হ (অর্থ : কল্যাণের জন্য এসো) --- ২ বার৬. আল্লা-হু আকবার (অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়) --- ২ বার৭. লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ (অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই) --- ১ বার৮. ফজরের আযানের সময় “হাইয়া ‘আলাল ফালা-হ” - এর পরে “আছছালা-তু খায়রুম মিনান নাঊম” (নিদ্রা হ’তে ছালাত উত্তম)_ _ _ ২ বার বলবে। আযান দেওয়ার সময় কানে আঙ্গুল দেওয়া ও মুখ ডানে বামে ঘুরানোঃ১. আওন ইবনু আবূ জুহাইফা (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (আবূ জুহাইফা) বলেন, আমি বিলাল (রাঃ) কে আযান দিতে দেথলাম এবং তাকে এদিক সেদিক ঘুরতে ও মুখ ঘুরাতে দেখলাম। তার (দুই হাতের) দুই আঙ্গুল উভয় কানের মধ্যে ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার রঙ্গীন তাবুর মধ্যে ছিলেন। (রাবী বলেন) আমার ধারণা, তিনি (আবূ জুহাইফা) বলেছেন, এটা চামড়ার তাবু ছিল। বিলালা (রাঃ) ছোট একটা বর্শা নিয়ে সামনে আসলেন এবং তা বাতহার শিলাময় যমিনে গেড়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এটা সামনে রেখে নামায আদায় করলেন। তার সামনে দিয়ে কুকুর এবং গাধা চলে যেত। তার গায়ে লাল চাদর ছিল। আমি যেন তার পায়ের গোছার উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি। সুফিয়ান বলেন, আমার মনে হয় এটা ইয়ামানের তৈরী চাদর ছিল। [সহীহ আত-তিরমিযি হাদিস/১৯৭, সহীহ ইবনু মাজাহ হাদিস/৭১১] ২. মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র.) _ _ _ আবূ জুহায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বিলাল (রা.) কে আযান দিতে দেখেছেন। (এরপর তিনি বলেন) তাই আমি তার (বিলালের) ন্যায় আযানের মাঝে মুখ এদিকে সেদিকে (ডানে বামে) ফিরাই। [সহীহ বুখারী শরীফ - ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস/৬০৬, তাওহীদ পাবলিকেশন : হাদিস/৬৩৪] ৩. মুওয়াযযিন ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে আযান দিবে। দুই কানে আংগুল প্রবেশ করাবে, যাতে আযানে জোর হয়। ‘হাইয়া ‘আলাছ ছালা-হ ও ফালা-হ’ বলার সময় যথাক্রমে ডাইনে ও বামে মুখ ঘুরাবে, দেহ নয়। [বুখারী, মুসলিম, ছহীহ ইবনু খুযায়মা, ‘ছালাত’ অধ্যায়, ৪১ অনুচ্ছেদ; তিরমিযী প্রভৃতি, ইরওয়া, ১/২৪০, ৪৮, ৫১ পৃঃ; নায়লুল আওত্বার ২/১১৪-১৬] অসুস্থ হ’লে বসেও আযান দেওয়া যাবে। [বায়হাক্বী, ইরওয়া ১/২৪২ পৃঃ।]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন